Artcell is a Bangladeshi progressive metal band formed in October 1999. Artcell is one of the leading bands of Bangladesh. The name "Artcell" was decided upon because it was softer sounding than a typical heavy metal name. In Cézanne and Shaju's words: -"Even though we were a heavy metal band when we started, we didn't want a heavy metal name. We wanted a softer or an artistic touch to the heavy metal side. 'Cells where art is produced' – that was pretty much the basic idea behind the name 'Artcell.' Ershad came up with it and we all opted for it." Artcell released its first studio album Onno Shomoy in 2002. It was both critically and commercially successful. After the success of Onno Shomoy, Artcell spent four years carrying out experiments with their music without releasing an album. They did, however, release singles scattered in various albums by other bands or compilation albums. Their second studio album Aniket Prantor was released in April 2006. The album was one of the top sellers of the year. In the 19 years since its inception, the band has released two albums. Their third album was scheduled to be released in December 2016 yet it is not published. Band members: Ershad Zaman - lead guitar and vocals (1999–present) George Lincoln D'Costa - vocal and guitar (1999–present) Saef Al Nazi Cézanne - bass, back-up vocals (1999–present) Kazi Sajjadul Asheqeen Shaju - drums (1999–present) Faisal Iftekher - bass (2016–present) Reaz (Mechanix) - drums (2010–present) ---------------------------------------------------------------------------------------------- This list contains their all the released/unreleased songs. Rank the best according to your opinion. Each song is associated with its lyrics in the description, courtesy of musixmatch.
তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়, তবু তোমার টুকরো ছায়ায়, ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন, অন্ধকারময়, কত স্মৃতি, কত সময়! তোমার জন্য পৃথিবীতে, আজকে ছুটির রোদ, নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা, আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা। তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়, মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়, মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়, আকাশ পানে তাকায়। তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়, আমার দেহে রাত্রি নামায়, মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়। ভীড়ের মাঝে আবার ভীড়ে, আমার শরীর মেশে কোলাহলে, দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে। অনেক দুরের একলা পথে, ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে, মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে। আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে, তোমায় আঁকি কান্না চেপে, মহাকালের ক্লান্ত পথে। তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়, আলোর মতন মিথ্যে ছায়ায়, পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়, কত স্মৃতি, কত মিথ্যে ভয়! তোমার জন্য গলার ভেতর, আটকে থাকে ক্রোধ, আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল, নির্জনতায় তোমার কোলাহল। তোমার না থাকা অস্তিত্ব, রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে, ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে, আমার অবশ অনুভূতির দেয়াল জুড়ে কত সময়, হেঁটে এসে আমরা দু'জন, হারিয়েছি পথ কোথায় কখন! আমার দেহে খুঁজে ফিরি তোমার অনুভূতি, তোমার চোখের দুরের আকাশ, মিশে থাকে, রূপক হয়ে। তোমার জন্য, বিষন্ন এক নিথর হৃদয়, আমার ভেতর, দাঁড়ায় সরব একা, তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন চির অদেখা। তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন চির অদেখা... তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়, তবু তোমার লেখায়, কথায়, ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়, কত স্মৃতি, কত অন্ধকার ভয়।
Drag and drop to sort list. Click to browse.
এখানে নত সময়ে বোবা শহর ফেটে পড়ে ... বাকরূদ্ধ মানুষের রূদ্ধ ক্রোধে গ্রেনেডের নীরবতা থেমে আছে ... কবে আবার মিছিল হবে? ... স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে ... সময়ের বিপন্ন অস্থিরতা অন্ধ মানুষ পায়ে হেঁটে শহীদ স্মৃতির হিম মিনারে ... তবুও আসে ভালবেসে। এখানে বেড়ে ওঠে শহীদ মিনার ... পুস্প স্বদেশ স্বপ্নহীন একা আঁধার। মৃত মানুষ অচেনা ভয়ে মাতৃভূমির ছায়াগারে ... বেঁচে থাকে গ্রেনেডের গ্রথিত গর্জনে। ... তোমাদের ভুল শব্দে লেখা স্বপ্নগুলো জানালা বদ্ধ ঘরে ... বাতাসের অনাহারে বেঁচে আছে আহত বাংলাদেশ ... স্বাধীনতা লেগে আছে তবুও বিকেলের বৃদ্ধ রোদে ... মানুষের মিছিলে আজও জেগে আছে মাথা তুলে শহীদ একুশে। ... এখানে নত সময়ে বোবা মানব অন্ধ চোখে ... শহীদ স্মরণ করে হেঁটে হেঁটে নিজের স্মৃতির অন্ধকারে ফিরে আসে ... ফিরে আসে… ...
যা দেখ যা দেখনা ভাঙ্গে যত অনুভূতি চেনা অচেনা, তোমার অনাগত সম্ভাবনায় জমে ঘুণপোকার আর্তনাদ। তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে চেয়ে থাকে অন্ধকার দেয়ালে, তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে। তোমার জানালায় নীল আকাশ আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময় শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময় স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময় শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়। ছায়াদের বাঁধা চোখে চোখে ফেরে সময়ের নির্বাসিত নীল আকাশ, অন্ধকার ভেঙে গড়ে আজ শব্দ করে এই ইতিহাস। তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে চেয়ে থাকে অন্ধকার দেয়ালে, তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে। তোমার জানালায় নীল আকাশ আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময় শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময় স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময় শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়। তোমার মৃত শব্দের দৃশ্য আজও ওড়ে, বাতাসে বিগত সময় শব্দ করে। ভুলের চেনা শরীর চেনেনি তোমাকে, এখানে কে দাঁড়ায় ছায়ার মিছিলে? একই শরীর একই সময় কেন তবুও এই পথের শেষে জড় অনুভূতি? কেন মেঘে ঢাকা পড়ে ছেঁড়া আকাশ? আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময় শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময় স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময় শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়।
আমার পথ চলা আমার পথে যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে আমার স্বপ্ন আমার সাথে যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে খুঁজে পায় জীবনের তীর জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে আমি কার আশাতে ছুটে চলি পথে পথে যেন কার মায়াতে বাধা পড়েছে জীবন যে কত সুর কল্পনা কত মিথ্যে প্রলভন কষ্টের প্রতিটিক্ষন শোনায় তার আহবান আমার আলোয় আলোকিত হতে চেয়ে আধারে মিলিয়ে আমার স্বপ্ন আমার সাথে যেন স্বপ্নের ভিড়ে আসে স্বপ্ন হয়ে খুজেঁ পায় জীবনে ফির জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে আমি কার আশাতে ছুটে চলি পথে পথে যেন কার মায়াতে বাধা পড়েছে জীবন যে কত সুর কল্পনা কত মিথ্যে প্রলভন কষ্টের প্রতিটিক্ষন শোনায় তার আহবান আমি আজ নেই তবু কত সুর ওঠে বেজেঁ তোমার ঐ গানের মাঝে এই পথ গেছে মিশে আমার বেলা শেষে স্বপ্ন ফিরে আসে পৃথিবীর দূর দেশে জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে আমি কার আশাতে ছুটে চলি পথে পথে যেন কার মায়াতে বাধা পড়েছে জীবন যে কত সুর কল্পনা কত মিথ্যে প্রলভন কষ্টের প্রতিটিক্ষন শোনায় তার আহবান
তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়, তবু তোমার টুকরো ছায়ায়, ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন, অন্ধকারময়, কত স্মৃতি, কত সময়! তোমার জন্য পৃথিবীতে, আজকে ছুটির রোদ, নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা, আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা। তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়, মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়, মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়, আকাশ পানে তাকায়। তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়, আমার দেহে রাত্রি নামায়, মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়। ভীড়ের মাঝে আবার ভীড়ে, আমার শরীর মেশে কোলাহলে, দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে। অনেক দুরের একলা পথে, ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে, মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে। আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে, তোমায় আঁকি কান্না চেপে, মহাকালের ক্লান্ত পথে। তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়, আলোর মতন মিথ্যে ছায়ায়, পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়, কত স্মৃতি, কত মিথ্যে ভয়! তোমার জন্য গলার ভেতর, আটকে থাকে ক্রোধ, আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল, নির্জনতায় তোমার কোলাহল। তোমার না থাকা অস্তিত্ব, রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে, ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে, আমার অবশ অনুভূতির দেয়াল জুড়ে কত সময়, হেঁটে এসে আমরা দু'জন, হারিয়েছি পথ কোথায় কখন! আমার দেহে খুঁজে ফিরি তোমার অনুভূতি, তোমার চোখের দুরের আকাশ, মিশে থাকে, রূপক হয়ে। তোমার জন্য, বিষন্ন এক নিথর হৃদয়, আমার ভেতর, দাঁড়ায় সরব একা, তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন চির অদেখা। তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন চির অদেখা... তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়, তবু তোমার লেখায়, কথায়, ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়, কত স্মৃতি, কত অন্ধকার ভয়।
আর্তনাদে হিঁচড়ে পড়ছে বেদনা হৃদয়ের কলুষতার বিষাক্ততা দূষিত করেছে আমায় সমাজের নিত্য চাপে… গ্রাস করেছে আমাকে গ্রহন লেগেছে সত্তায় দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি বিবাগী পথিকের বেশে বারে বারে একই ঠিকানায়। মানুষ এগিয়ে যায় অন্যসময়ে আকাশ বদলে যায় অন্য আকাশে। দেহের বায়ু ক্রমশ ফুরিয়ে জীবনের চাহিদা কিছু বাকি রয়ে যায়, হৃদয়ের পাখি এখনও বন্দী খাঁচায় জীবনের সীমানা দূরে দেখা যায় মুক্তির সিঁড়ি পেরিয়ে কে বা কার দেখা পায় দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি বিবাগী পথিকের বেশে বারে বারে একই ঠিকানায়।
তবুও এই দেয়ালের শরীরে- যত ছেঁড়া রঙ, ধুয়ে যাওয়া মানুষ, পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার যত উদ্ভাসিত আলো- রঙ আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে… দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ… তবুও এইখানে আছে অবলীল হাওয়া জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায় দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়। আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা? তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায় রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে… দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ… তবুও এই দুটি কাঁটাতার এ শহরের মত করে ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার অচেতন কখন বেওয়ারিশ মাটির কাছে এসে সময় কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে… তবুও এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ এখানে ভাঙে না দুটো দেশে। মেঘের দূরপথ ভেঙে বুকের গভীর অন্ধকারে আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতন অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে। এখানে সরণির লেখা নেই নাম কোন শহীদ স্মারকে তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর. তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর- ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে আলো আর অন্ধকার তোমার তোমার দেয়ালে কত লেখা মানুষের দেয়ালে দেয়ালে বেঁড়ে ওঠে কাঁটাতার এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়। তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি জড় পাথরে লেখা নাম – শহীদ স্মরণী। জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি. তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো বাসি কবিতা নষ্ট করে তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ তবুও অনিকেত এই প্রান্তরে. এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে সবুজের ঘ্রানে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর তোমার দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত… তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন ঘুমের মত নেশাময় কত কত শিশু কত আলোর মশাল নিভে গেছে নিভে গেছে কত অচেনা ভয়। .....
আমি জন্মাতে দেখেছি জীবনের সব ভুলগুলো জীবন ভুল না হতে পারে হয়ত সময় ভুল ছিল সময়ের ভুলে জীবন মঞ্চে অভিনয় করছি আমি নষ্ট হচ্ছে স্বকীয়তা ক্রমশ নষ্ট হচ্ছি আমি(২) তবু চিৎকার যখন অর্থহীন আর্তনাদ প্রতিবাদ কোন দুর্বোধ্য ভাষা সবাই যখন আদিম উল্লাসে মত্ত ভুল জন্ম তোমাকে জানাই বিদায় স্বপ্ন মঞ্চে মেলানো যায়না জীবন অলীক স্বপ্নে বদলায় না বাস্তবতা সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব ভুলের বেসাতি শেষ হয়ে যাক এবার কষ্টে ডুবে থাকা নয় নয় আর হাহাকার আমার দ্বৈত স্বত্তা করছে আজ অস্বীকার সময় তাকিয়ে দেখো পরিবর্তন বাস্তবতার চোখের কোণে লেগে থাকা স্মৃতি ঘুমের মত তীব্র ভালবাসা আলিঙ্গনে নিমগ্ন শূন্যতা ভুল জন্মে আমার অসারতা
(আমাদের সবার লেখার, কথার, গানের যে শব্দ, ভাষার যে উপমা, সব কেড়ে নিয়ে যে রুপক চিরতরে হারিয়ে গেছে অদেখা স্বর্গে, তার স্মরণে রুপক আজ একটি গান-আর্টসেল) মনের ভিতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ নেশার মতন থমকে থাকে ক্লান্ত এ জীবন ধ্বংস স্মৃতির পাড়ে বসে আমার আহ্বান দুঃখ ভুলে নতুন করে লিখছি তোমার এ গান মিছিল ভাঙা নির্জনতায় দাঁড়িয়ে একা আলোর নিচের অন্ধকারে স্মৃতির দেখা চার দেয়ালের শব্দগুলো এখন শুধুই ছাই মেঘের ঢাকা শহরটাতে তুই কেবল নাই মনের ভেতর ভাঙা গড়ার আদিম আয়োজন শূন্যতায় ডুবে থাকে আমার সারাক্ষণ নিয়ম ভাঙ্গার মগজ জুড়ে এখন শুধুই ছক তেপান্তরের নির্বাসনে হারিয়ে গেছে রুপক মনেই যুদ্ধ আমার নিজের সাথে লড়ি স্মৃতির দেয়াল ছুঁয়ে হাজার মূর্তি গড়ি চোখের দেখায় যা দেখি আর হয়নি যা দেখা অভিমানের নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকি একা ভুল জন্মে কষ্ট আমার লেখার আপোষে অদেখা এক স্বর্গ ভাসে অচেনা আকাশে মনের ভেতর যুদ্ধ এখন আমার সারারাত অন্ধকারের কোলাহলে ধরেছি তোমারই হাত একলা ভীষণ আমার ঘরে স্মৃতির হাহাকার আলোয় চাইছি নিভিয়ে দেব মলিন অন্ধকার মনের ভিতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ মহাকালে মিলিয়ে গালি হঠাৎ কখন
তোমার অনেক ফেলে আসা ধূসর ধুলো জমা সময়ে নীরব চেয়ে থাকা চোখের আলো ঘিরে থাকবে যেন তোমাকে যা কিছু ছিলো থেমে থাকা আবার থামবে এই বিদায়ে আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে তোমার অনেক ফেলে আসা ধূসর ধুলো জমা সময়ে নীরব চেয়ে থাকা চোখের আলো ঘিরে থাকবে যেন তোমাকে যা কিছু ছিলো থেমে থাকা আবার থামবে এই বিদায়ে আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে নিয়ত স্মরণের বেড়াজালে অধীর অপেক্ষার শেষে প্রয়াত আগামীর স্মৃতি ঘুরে বিদায় আসবে অবশেষে তুমি নীল শব্দ শুনে নির্জনে ধূসর ধুলো জমা সময়ে নিহত স্বপ্নগুলো সহসা আলো জ্বেলে … হারিয়ে যাও যতদুরে আসবে তবু ফিরে আবার অজানায় অবিরত মলিন ক্ষত মুছে ফেলে চিরতরে তোমার অসাড় থেমে থাকা প্রয়াত আগমনে তুমি নীল শব্দ শুনে নির্জনে ধূসর ধুলো জমা সময়ে নিহিত স্বপ্নগুলো সহসা আলো জ্বেলে … হারিয়ে যাও যতদুরে আসবে তবু ফিরে আবার অজানায় অবিরত মলিন ক্ষত মুছে ফেলে চিরতরে তোমার অসাড় থেমে থাকা প্রয়াত আগমনে যা কিছু ছিলো থেমে থাকা আবার থামবে এই বিদায়ে আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে তোমার অনেক ফেলে আসা ধূসর ধুলো জমা সময়ে নীরব চেয়ে থাকা চোখের আলো ঘিরে থাকবে যেন তোমাকে যা কিছু ছিলো থেমে থাকা আবার থামবে এই বিদায়ে আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে
তোমরা কেউ কি দিতে পার প্রেমিকার ভালবাসা দেবে কি কেউ জীবনের ঊষ্ণতার সত্য আশা ভালবাসার আগে নিজেকে নিও বাজিয়ে আমার মনের মত… নিও সাজিয়ে আমি বড় অসহায়… অন্য পথে একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে ও আমায় ভালবাসেনি অসীম এ ভালবাসা ও বোঝেনি ও আমায় ভালবাসে নি অতল এ ভালবাসা তলিয়ে দেখে নি তোমরা কেউ কি করবে আমার জন্য অপেক্ষা ভালবাসবে শুধুই আমায়, করবে প্রতিজ্ঞা ।। এত দিনেও আজও আমি একা মনে শুধু যে শূন্যতা আধারে যত ছড়াই আলো শুধু আধারে মিলায় ও যে কোথায় হারাল ব্যাথা কাকে যে শুধাই
মুখোশে আমায় যেমন দেখ পরিচ্ছন্ন তোমার মত মুখোশে আমার শরীর ঢাকা তোমার চোখেও মুখোশ আঁকা যতই মিথ্যের দেয়াল গড়ি তোমার আমার চারপাশে নিজের আয়নায় মুখোশবিহীন পড়ে থাকি গল্প শেষে আমি জানালার ভেতরে বাহিরে দুজন দেয়ালের কাছাকাছি যাই দেয়ালে বাঁধা সস্তা জীবন নিজের আয়নায় একলা দাঁড়াই মুখোশে যাকে তুমি চেন চেন না যাকে মুখোশবিহীন আমরা দুজন সত্য পুরুষ নিজের ভেতর দুজনেই পরাধীন শুন্যতায় প্রশ্ন থেকে দাঁড়ায় মনের খোলা ঘরে দেয়ালে চৌকাঠে আয়নায় কে সত্য? তুমি না আমি?...
কালো মেঘে ঘেরা পৃথিবীতে কৈশোর বয়সেই আমি শিখেছি নিজেকে চিনতে অন্যের দৃষ্টিতে যাযাবর আমি পৃথিবীতে মানুষের রূপ ধরে আমি দেখেছি মানুষের হাতে গড়তে দেবতারে অন্যায় আর অবিচারের কালিমা বুকে নিয়ে আকাশ এখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে ভুলে গেছে সব সকাল রাতেরই মাঝে বিলিন হয় অবশেষে মানুষ শুধু বেঁচে থাকে অন্য মানুষের মাঝে বিষাক্ত বাতাস চারিদিকে আমাকে আঁকড়ে ধরে আছে আমার আত্মবিশ্বাস বাস্তবতার আঘাতে ভেঙ্গে গেছে স্বপ্নগুলো রাতের অন্ধকারে চারিদিকে এখন শুধু হাহাকার শুনি আমাকে ছেড়ে গেছে চলে আমার অতীত স্মৃতিগুলো আমার দেহে আছে পড়ে অপমানের শত চিহ্ন এখনো আমি আছি বেঁচে যেন কৃত্রিম মানুষ হয়ে আমার চারিধারে জ্বলছে আগুন আমার জ্বালানো...
শূন্যতায় এঁকেছি গভীরতা দৃপ্ত নেশায় উন্মাদ স্বচ্ছতা জানিনা জীবনের, সেই সলতে কোথায় ঝড়ো বাতাসেও, প্রদীপ জ্বালায় স্বপ্নঘোর এ ধরায় মগ্ন এক বিলাসিতায়। পাষণ্ড এ জগতের কোথায় শেকল গাড়া ব্যর্থ শৃঙ্খলিত মনে তারই ছায়া পাপের দংশনে দংশিত এ রক্ত ধারায় শেষ প্রহরে শ্বাসরুদ্ধ রাহুর ছায়ায়। স্বপ্নের ছায়ায় কারো উষ্ণতায় ঝাপসা সুখে অশ্রু ঝরায় অস্তমিত ঐ রবির শেষ আলোকছটাও বিলীন শ্রান্ত এক যুবা উদ্ভ্রান্ত মৌন মলিন দুর্ভোগের উপহাস কিসের স্বপ্ন কিসের উষ্ণতা ঘনঘোর আঁধার কোলে খোঁজে গন্তব্য শূন্যতা। পাষণ্ড এ জগতের কোথায় শেকল গাড়া ব্যর্থ শৃঙ্খলিত মনে তারই ছায়া পাপের দংশনে দংশিত এ রক্ত ধারায় শেষ প্রহরে শ্বাসরুদ্ধ রাহুর ছায়ায়।
তোমাকে আলো ভেবে চোখ চেয়ে থেকেছি আঁধারে নীরব থেকে ডেকেছি আমার একা নির্জনে স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলে চেয়েছি ফিরে তোমার আলোতে তোমাকে যখনই চেয়েছি স্বত্তার অন্তরালে সংগোপনে তখনই জেনেছি আলো হয়ে আছো তুমি আমার আঁধারে আর যখনই ভেবেছি বাঁধবো সীমা চারপাশে তোমাকে ঘীরে তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে আপন আঁধারে যেখানে স্বর্গ ভাসে তোমার আমার আকাশ সেখানে অন্য রঙে আঁকা আয়নায় মৃত জলছবি সেই ছবিতে অন্ধ কবি আমি এক হাতড়ে ফিরি আলোর সিড়ি তোমাকে যখনই চেয়েছি স্বত্তার অন্তরালে সংগোপনে তখনই জেনেছি আলো হয়ে আছো তুমি আমার আঁধারে আর যখনই ভেবেছি বাঁধবো সীমা চারপাশে তোমাকে ঘীরে তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে আপন আঁধারে (তোমাকে) (তোমাকে)
নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি শত রঙে রাঙিয়ে মিথ্যে কোনো স্পন্দন আলোর নিচে যে আঁধার খেলা করে সে আঁধারে শরীর মেশালে…হে… নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি শত রঙে রাঙিয়ে মিথ্যে কোনো স্পন্দন আলোর নিচে যে আঁধার খেলা করে সে আঁধারে শরীর মেশালে…হে… আজ আমি ধূসর কি রঙিন সময়ে পথ হারাই তোমাতে জীবনের কাঁটা তারে তুমি অন্তহীনের অপূর্ণতায় বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শূণ্যতায় তবু আমি… কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে কোথায় আলোর উৎসবে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙে একা একা আমি থাকি দাঁড়ায়ে স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দুজনার শরীর মেশায় কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে কোথায় আলোর উৎসবে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙে একা একা আমি থাকি দাঁড়ায়ে স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দুজনার শরীর মেশায় আজ আমি ধূসর কি রঙিন সময়ে পথ হারাই তোমাতে জীবনের কাঁটা তারে তুমি অন্তহীনের অপূর্ণতায় বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শূণ্যতায় জীবনের কাঁটা তারে তুমি অন্তহীনের অপূর্ণতায় বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শূণ্যতায়... তবু আমি…
অলস সয়ের পাড় ধরে হাটছি ঢেউ এসে পড়ে পৃথিবীর শব্দ ও নিরবতায় ভাঙে অন্ধকার আলো ছায়ায় মাখামাখি পৃথিবী স্বপ্নের পাড়ে একা একা হাটছি আলোর কার্নিশে জমে দিন রাতের নিশাচর নিঃশ্বাসে মেশে মদ আজো মাতাল আমি পথভ্রষ্ট কবি পৃথিবীর কোলাহলে একা একা হাটছি অসাড় কথার শেষে আরও কথা থাকে শব্দহীন অনুচ্চারে ঝড়ের হাওয়ায় ভেঙ্গে দেয় অন্ত্যমিল দুজনার মিথ্যে আবেগের পড়ে থাকে মৃত নদী জীবনের পাড় ধরে আজো একা হাটছি অলস সময়ের সৈকতে ঢেউ এসে পড়ে স্বপ্ন জুড়ে ভেঙ্গে দেয় ছায়ার মত তুমি(২) রোদের আকাশে ভেসে যায় মেঘের স্বপ্নপুরী পৃথিবীর কোলাহলে তুমি আমি হাটছি। স্বপ্নের পাড়ে একা একা হাটছি পৃথিবীর কোলাহলে একা একা হাটছি জীবনের পাড় ধরে আজো একা হাটছি পৃথিবীর কোলাহলে তুমি আমি হাটছি।
আজ আমি আলোছায়া, আজ আমি অন্ধকার সময়ের হারানো পথে আজ ভেঙেছে ঘুম চেতনার পৃথিবীর কোলাহল নির্জনে আপোষের এ বেঁচে থাকা পেছনে ফেলে ইতিহাস যাবে না ভাঙা চার দেয়াল। কুয়াশা ঢাকা স্বপ্ন আমার, খুঁজে ফিরি ধুসর সীমানায় বদ্ধ ঘরে আলোছায়ায় থমকে থাকি নির্জনতায়। হয়নি পাওয়া কিছু আর শুধুই অন্ধকার আজ আমিই এক শূন্যতা, তবুও চেয়ে রই মুক্তির আশায়... শান্তির আশায়... বিধাতারই একটু ইশারায় ভেঙে গেছে স্বপ্ন অসহায়, পথিকের মত খুঁজে ফিরি পথে পথে করুণা। সত্য যা দেখ সবই মিথ্যের মায়াজালে ঘেরা, আমাদের সাথে ছলনা অদৃষ্টের করা...
তোমার ঘরে যত কথায় যত সুরে আমাদের এ গানের শহর শব্দ করে, আলো ভেঙে অন্ধকারের মাঝে ফিরে যেতে পুরনো সেই দিনের কথায় স্বপ্নাগারে তোমার ভিড়ে যত আলোয় তবুও নিভে পড়ে আছি আমরা যারা অতীত হয়ে তোমার ঘরে কথায় সুরে ইচ্ছে করে ফিরতে পুরনো সেই দিনের কথায় স্বপ্ন হয়ে তোমায় ছুঁতে আমার ভিতরে অতীত ধরে হেঁটে হেঁটে ইচ্ছে করে হারাতে তোমাদের কাছে হাজার শব্দে ভেসে আমরা এসে আজ ভীড়ে মিলে মিশে তবুও ঝড়ের বদ্ধঘরে শব্দ ভেঙে ভেঙে অতীত ছায়া স্পর্শ করে চেনা চেনা চোখে ছায়া রং হারিয়ে যায় নিভিয়ে দেয় সময় কত স্মৃতি তবু আমি তোমায় খুঁজে পেতে চাই পুরনো সেই দিনের সুরে ফেলে আসা রূপকে গানের আমি তুমি হারিয়ে যাব মেঘের পরে মেঘে স্মৃতির ঘরে সময় ভেঙে ভেঙে ভেঙে অন্য রোদের অন্য সময়ে……
আমার অবারিত দরজা জুড়ে সম্ভাবনার রঙিন মলাট আমার শরীর ডুবে আছে অবিরাম মৃত উষ্ণতায় তুমি যে রোদ মাখবে বলে মেতে উঠেছো রঙের উৎসবে আমার বিষাদ ছায়া হয়ে ঢেকে দেয় তোমায় জানবে আমি শুধু আমি নই আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব তোমাতে মিলিয়ে আমার সব সুর তোমারই সঙ্গপনে তোমারই অন্ধকারে যে শব্দ বয়ে চলে এসো কান পেতে রই নিরবে মনেরই ইন্দ্রজাল জুড়ে যে স্বপ্ন খেলা করে নেব সেই সীমানায় তোমাকে যত দুর চলে গেলে দুরত্ব ঘোচালে নিভে যাওয়া মানুষ জ্বলবে আলো হয়ে সেইখানে তোমাকে জানাবো গোপনে স্বপ্ন মানে পাশে থাকা সময়ের হাত ধরে নতুন স্মৃতি এলে আমি থাকব পথ চেয়ে ছদ্মবেশে আবার এসে দাড়ালে একা দেখবে আমার চোখে সম্ভাবনা জীবন জুড়ে থাক পরাজয় হয়েছে ম্লান চিরকাল জানবে তুমি ভোর হওয়া চোখে যে অবিরাম স্বপ্ন দেখেছ আমি সেই বাস্তবতা কিংবা মলিন সান্তনা আমাদের অভিধানে মিথ্যের হয় অনুবাদ অবসাদ আশ্রয় খুঁজে মানুষের অন্ধকার ঘরে প্রতিবাদ প্রতিরোধ ভুলে আনমনে মেনে নেয় পরাজয় তখন ভাঙ্গতে হবে ঘোর হাতে রেখে হাত হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে জাগতে হবে রাত আলো জ্বেলে রেখে উৎসবের উৎসাহে বিস্তীর্ণ উজানে একলা হয়ে গেলে চিনিয়ে নেব পথ চিনবো এঁকে এঁকে পিছু ফিরে পাই ফিরতে যদি হয় পাড়ি দেব পথ নিমিষে
লীন জড়তায় নীল আকাশে ঝড় বাঁধা পড়ে ভাঙা মানুষে. ভিজে সময় একা আঁধারে ভেসে গেছে রোদের রেখা ভেসে গেছে রোদে ভেসে গেছে. দূর বহুদূর থেমে থাকা আকাশে- লীন আকাশে, সাদাকালো মেঘ ভেসে যায় হারিয়ে- নীলে হারিয়ে, ধুলো জমা স্মৃতি উড়ে যায় বাতাসে- ঝড়ো বাতাসে, ঝড় বাঁধা পড়ে ভাঙা মানুষে।
আবার দেখা দেয় আলো অন্ধকারের থাকে নিজস্ব শরীর আলোর স্বপ্নগুলো লেখা আছে হাজার বছরের গায় আলোর পৃথিবী কোথায়? ভাবনার রুদ্ধ ঘরে একা বসে ভাবি অন্ধকার দূরের দিকে খুঁজি তোমাকে আকাশের শেষে কি থাকে? কোথায় পড়ে আছে আমার স্বদেশ? অন্ধ চোখে আলো কি শরীর পায়? এখানে আমি বিকলাঙ্গ পাথর তোমার সাজানো দৃশ্যে হাঁটছি গন্তব্যহীন সমাহিত সময়ের রাত্রির নক্ষত্রকে খুঁজি অসীম শূন্যতায় এখানে পড়ে থাকে পাথরের মত স্থবির মানুষ শেখানো বর্ণনায় দৃশ্যকে ভাবি পৃথিবী স্বপ্নকে ভাবি তুমি মৃত্যুকে মনে হয় গভীর ঘুম আঁধারকে ঈশ্বর ভাবি সকল আলোর প্রথম উৎস কি অনিশ্চিত আঁধারে? তোমাকে এঁকেছি প্রতিটি দৃশ্যের রেখাবৃত্তে তোমার স্বপ্নকে আমি দিয়েছি প্রাণ আমার স্বপ্নে তোমার করাঘাত নিজেকে হয়না চেনা আজও শুধু নেমেছি অতলে এখানে একা বসে কতকাল ভীত রাত্রিকে ডেকে দেয় বীভৎস আমার মুখ অশরীর আমি নিজেকে আজও ভয়।
ভোর হোক তোমার জানালায় ভোর হোক ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া শহরে শহীদ সরণীর পীচঢালা পথে রৌদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে। তোমার স্থল-মাইন আবাদি মাটির প্রাণরসে ভিজে কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক তোমার জানালায় মৃত শিশু পড়ে থাকে যুদ্ধাহত সময়ের বাসি রোদ। কবির মতন দুঃস্থ উদার হোক তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়। তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার। ভোর হোক তোমার অন্ধ চোখে যুদ্ধের অহর্নিশ ধ্বংসস্তূপ, ইতিহাস... তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার। ভোর হোক তোমার অন্ধ চোখে যুদ্ধের অহর্নিশ ধ্বংসস্তূপ, ইতিহাস... বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে। কবির মতন দুঃস্থ উদার হোক তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়।
This is an instrumental.
এই ঘরে ফেরা নিজেকে ফিরে দেখা আয়নাতে কার মায়া আঁধারের আলো ছায়া আমার সাথে চলে তোমাকে নিয়ে একা অজানা যে আকাশে ওড়ে অদেখা কোন স্বর্গ আমার না পাওয়া তবু পথ দেখায় আশাতে হতাশা ভোলায় যতবার জন্মেছি তোমারই আশাতে ততবার আবার এই ফিরে চলা দুর থেকে দেখা আমার এ ভালোবাসা অজানা যে আকাশে ওড়ে অদেখা কোন স্বর্গ আমার না পাওয়া তবু পথ দেখায় আশাতে হতাশা ভোলায় আমার ঘৃনা তোমাকে পোড়াবে না দেখাবে স্বপ্ন আমার দুঃখ তোমার আকাশে মেঘ হয়ে কাঁদাবে না আমার ফেলে আসা দুঃস্বপ্নের রাত যত কষ্টের স্মৃতি তোমার জন্য বাঁচতে শেখাবে মৃত্যু হয়ে ছোঁবে না কত মিথ্যে অভিনয়ে গড়া এ জীবন অচেনা ছোঁয়ায় অজানা যে আকাশে ওড়ে অদেখা কোন স্বর্গ আমার না পাওয়া তবু পথ দেখায় আশাতে হতাশা ভোলায়
সমাধির বিশাল প্রান্তরে একা জেগে আমাদের তথাকথিত সভ্যতার যীশু, ধার করা কবিতার শ্যাওলা মাখা স্মৃতির পাথরে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে এ মূল্যবোধ। সাদা ক্রুশের মিছিল জুড়ে মিথ্যে অহংকার ভুল নায়কের ছদ্মবেশে নেয় নিঃশ্বাস, সম্মোহিত মৃত প্রজন্ম ফিরে আসে ফিরে আসে জন্মান্তরের বিবর্তনে। আড়ালে হেসে যায় যুদ্ধের দেবতা ধ্বংসের সুর তোলে আবারও, পৃথিবীর বুকে আবাস গড়ে নতুন কোনো পাথর বাগান। তোমাদের পাথর বাগানের সবুজ ঘাসে মিশে থাকে কত যুগের নষ্ট গল্প, কত পতাকার রঙ ধুয়ে যায় অভিশাপে আকাশের সাদা অনুভুতিতে শুধু ঘৃনা।
চারটি দেয়াল ক্রমশ সরে আসে বৃত্তের ভেতরে কমে আসে আলো বস্তুর চারিপাশ এখন নীরব। রঙ মূলত সাদা কালো অন্ধকারের ছায়া-অপছায়া বোধ। অথবা খয়েরী নীল আকাশ অনেকটা ঘুণে খাওয়া রোদ লেগে থাকে আকাশের গায়ে সময়ের রঙহীন ক্যানভাস আমার জানালায়। স্বপ্ন এখন এগারো সাতাশ শুন্যের ওপর দেখ, দেখো দাঁড়ায় সম্মোহিত শহর বাতাসের চোখে আজ, চোখে আজ নেশার উৎকট আলো রঙ মূলত সাদা কালো অন্ধকারের ছায়া-অপছায়া বোধ। অথবা খয়েরী নীল আকাশ অনেকটা ঘুণে খাওয়া রোদ লেগে থাকে আকাশের গায়ে বিবর্ণ সময়ের জানালায় আজ ঘুণে খাওয়া রোদ আমার শরীর মানে আমি ও ছায়া-ছায়া মানে মৃত রোদ আত্মহুতি দেয় তাদের আলোর যৌবন সারাক্ষণ মেঘে মেঘে ঢাকা পড়ে চেনা অচেনা কত মুখ ছায়ার শরীর ছায়ায় বাঁচে আলোর ভয় জানালায় আজ ঘুণে খাওয়া রোদ।
A tribute to the National Poet of Bangladesh, Kazi Nazrul Islam: দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার। দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত? কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত। এ তুফান ভারী,দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।। অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ কান্ডারী আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন। হিন্দু না ওরা মুসলিম, ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র। ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান, আসিয়া অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল,কান্ডারী হুশিয়ার! দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
আমি কার ভুলে ছিলাম ভুলে এক রক্তমাংসের অপ্সরী খুঁজে ফিরি অপুর্ণতায় পূর্ণতা জীবনের সাথে লুকোচুরি। মনে পড়ে তুমি ছিলে পাশে এখনও যেভাবে আছো জড়িয়ে তবুও নীরবে তোমায় স্মৃতিচারণ সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে। তুমি এলে উৎসবে সাজবে নতুন আকাশ বাতাসে ভাসবে অজানা অবাক উল্লাস তোমার ভেতর জন্ম নেব আমি মুছে ফেলে দু'জনার আলাদা নিঃশ্বাস। তুমি আমার জন্য এনেছিলে স্বর্গ শোনাতে নতুন কোন মুর্ছনা তুমি অবাক নিঃশ্বাসে গিয়েছিলে বলে পৃথিবীর ওপারে আরেক পৃথিবী। আমার নিঃশ্বাসে ছিল মিথ্যে আগুন চেতনায় কত মিথ্যে অসীমতা অতৃপ্তি নিয়ে সাজাতে সুখের জীবন জন্মান্তরের ভুলে ছিল স্বাধীনতা
আবার জিগস, সেই "ছাড়পত্র" পেয়ে "অনুশীলন" এর মাঝে রীতিমত বাঁধা গত চেষ্টা এই দৃশ্য কল্প ভেবে আমার "প্রজন্মের" পরাহত অঙ্গীকার কারো সাথে নেই আমরা কারো পাশে নেই আমরা নিজের জন্য গান লিখে নিজেকেই খুঁজে ফিরে সমাধির স্বাদ আমার আজ আমি এখানে এক "অন্য সময়ে" "আমার পৃথিবী"তে "উৎসবের পরে" "শ্রেষ্ঠ" অনুভূতি দেই ছরিয়ে আরে রাস্তায় নেমে গেছি এক সাথে মোরা আটঘাট বেঁধে পরিকল্পিত বিস্তৃত আক্রমণ আগন্তুক নই অদেখা স্বর্গে আমি চেনা দুঃখের মাঝে ভুল জন্মের চেতনা আমার অধিকার ছারবো না নিজের জন্য গান লিখে ঘুরে ফিরে নিজেকেই খুশি করে সমাধির স্বাদ আমার আজ আমি এখানে এক "অন্য সময়ে" "আমার পৃথিবী"তে "উৎসবের পরে" "শ্রেষ্ঠ" অনুভূতি দেই ছরিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়াবে আমার পথের সঙ্গী হবে আশীর্বাদের ছোঁয়ায় বেষ্টিত করো আমাদের এই শ্বেত শুভ্রতায় আছি আমরা কজনে এক সাথে মিলে মিশে
ছায়ার বর্ণমালা আলোর কাছাকাছি আসে আলোর রুদ্ধ আকাশ আঁকে মৃত্যু শুন্যতায় একা একা তবু দুরের দুরত্ব ভেঙ্গে সকল স্মৃতির ছেঁড়া মেঘ থাকে ছায়ায় আঁকা স্মৃতির ঘরে ভয়ের মতন অন্ধকারে আলোয় আঁকা রুদ্ধ আকাশ মৃত্যু একে রাখে তবু ঘড়ির বন্ধ সময় শরৎ খোজে নিল আকাশে স্মৃতির পায়ে শেকল বেধে সময় দাড়ায় শরীর ঘেষে সরব শব্দ সুরে অরব শুন্যতা ভাঙ্গে মানুষ মুখোশ ত্রিমাত্রিক বোধে ছায়ার সারথী গড়ে সবুজ পৃথিবীর হাজার শহর শেষে একা মানব মুখোশ বেছে থাকে ছায়ায় আঁকা স্মৃতির ঘরে ভয়ের মতন অন্ধকারে আলোয় আঁকা রুদ্ধ আকাশ মৃত্যু একে রাখে তবু ঘড়ির বন্ধ সময় শরৎ খোজে নিল আকাশে স্মৃতির পায়ে শেকল বেধে সময় দাড়ায় শরীর ঘেষে নিমর ভাবনার পাথর ঘরে যুদ্ধ আসে যুদ্ধ আসে মানুষ মুখোশ অগোচরে আলো দিয়ে ছায়া আঁকে ছায়ার বর্ণমালা ছায়ার কোরাস এ যুদ্ধ আসে যুদ্ধ আসে কাটাতারে ছেঁড়া আকাশ বিধে আছে স্বপ্ন জুড়ে কে মৃত্যু একে রাখে?
তোমার চেতনায় আজ সাগরের পদধ্বনি অতীত ঘুরে এসে বিচূর্ণ আজ তোমার নীল আকাশ, তোমার ভাবনার চেনা অচেনা পথে কাঁটাতার ব্যারিকেড সামরিক পদাঘাতে ধর্ষিত আজ তোমার বিবেক। স্বপ্ন দেখ অন্ধ চোখে… তোমার গানের মৃত শরীর পড়ে থাকে গভীরতায় মুখ থুবড়ে স্বপ্নের মৌনতায় সামরিক বেয়নেটে বিকলাঙ্গ আজ তোমার বিবেক। চিৎকার কর নিরুচ্চারে.. তোমার আকাশে তবুও অনেক গাঙচিল যাদের বুকে বৃষ্টি তোমার চেতনায় সামরিক পদধ্বনি। বিবেকের দরজায় কড়া নাড়ে কারা?
ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবীটা বধির অস্ত্রের উচ্চারনে মুখরিত নির্জীব পড়ে থাকো তুমি দেয়ালের পদতলে, যদি তুমি আপোষ কর পিছু হটা পদধ্বনি ক্রমাগত সরে আসে নিঃসঙ্গ সম্ভাবনার দিকে, দ্রুতগতির নিঃসঙ্গ ট্রেন। ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবীটা স্বপ্নহীন সম্মোহনে বিষণ্ণ নীল পড়ে থাকো তুমি সময়ের পদতলে, যদি তুমি আপোষ কর সময়ের ক্লান্ত শরীর ক্রমাগত সরে আসে নিঃসঙ্গ সম্ভাবনার দিকে, দ্রুতগতির নিঃসঙ্গ ট্রেন। তোমার অস্তিত্বের জিজ্ঞাসা নিয়ে ছোটে আগামীর শূন্যতায় যদি তুমি উঠে আসো শৃঙ্খলিত মিছিল ভেঙ্গে। এখানে শুধু বাকরুদ্ধ দেয়াল দেয়ালে তোমার আমার করুণ ক্রীতদাস ছায়া, ছায়ার শরীর। অশরীর তুমি পরাজিত জীবনের অচেনা নায়ক উঠে এসো আজ তোমার রুদ্ধদ্বার অন্ধকার হতে অস্তিত্বের মৃত প্রাণ, আবার উচ্চারিত হোক সময়ের বধির দেয়ালে...
চেয়ে আছে পৃথিবী জেগে আছে কোটি চোখ থমকে আছে চারপাশ করতালির অপেক্ষায় (২) এই সময় সেই সময় চেতনার এই ক্ষণে আকাশ বাতাস জেনে গেছে হুঙ্কারের অপেক্ষায়! আমার শিরায় জ্বলে আগুন রুদ্ধশ্বাসে পুড়তে চাই আমার চোখে ঝড়ো মিছিল স্লোগানে বদ্ধ উপমায়। দীর্ঘ যুগের জমানো সাধ জমে আছে আমারি গায় আমার স্বত্তা চিৎকার করে জাগবে সারা বিশ্বময়। জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও আলোর কথা জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও বাংলাদেশকে জেনে যাও চেয়ে আছে পৃথিবী জেগে আছে কোটি চোখ থমকে আছে চারপাশ করতালির অপেক্ষায় এই সময় সেই সময় চেতনার এই ক্ষণে আকাশ বাতাস জেনে গেছে হুঙ্কারের অপেক্ষায়! উড়ে যাক দমকা হাওয়ায় দুঃখ ক্ষরা যন্ত্রণা জেগে উঠুক আমার দেশ লাল সবুজের পতাকায় চমকে উঠুক পৃথিবী আজ চমকে উঠুক স্বপ্নরা থমকে তুলুক নীল আকাশ থেকে গর্জে উঠুক বিজয়ে জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও আলোর কথা জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও বাংলাদেশকে জেনে যাও চেয়ে আছে পৃথিবী জেগে আছে কোটি চোখ থমকে আছে চারপাশ করতালির অপেক্ষায় এই সময় সেই সময় চেতনার এই ক্ষণে আকাশ বাতাস জেনে গেছে হুঙ্কারের অপেক্ষায়! বরাবরের ভুল বাড়িয়ে অনেক সময় ডুড়েছি আমার দিকে নির্দেশ করে অনেক কথাই শুনেছি আমার দেশে আমার মানুষ থেমে যেতে আসেনি সূর্য যখন হাতের মুঠোয় তোমরা কি তা দেখোনি?(২) চেয়ে আছে পৃথিবী জেগে আছে কোটি চোখ থমকে আছে চারপাশ করতালির অপেক্ষায়… এই সময় সেই সময় চেতনার এই ক্ষণে আকাশ বাতাস জেনে গেছে হুঙ্কারের অপেক্ষায়…
নজরুল গীতি: কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী। ওরে ও তরুণ ঈশান, বাজা তোর প্রলয় বিষাণ ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। গাজনের বাজনা বাজা, কে মালিক, কে সে রাজা, কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে? হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি, সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে! ওরে ও পাগলা ভোলা, দে রে দে প্রলয় দোলা, গারদগুলা জোরসে ধরে হেচ্কা টানে মার হাঁক হায়দারী হাঁক, কাধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক, মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে। নাচে ওই কালবোশাখী, কাটাবী কাল বসে কি দেরে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি লাথি মার ভাঙ্গরে তালা, যত সব বন্দী শালায়-আগুন-জ্বালা, আগুন-জ্বালা, ফেল উপাড়ি।।
হারানো স্মৃতির মাঝে.... কেন আমি একা দাঁড়িয়ে জানিনা কেন.. আমি.... আজো তোমায় ভুলতে পারিনি সেই রাতে তুমি বলেছিলে আমায় নিয়ে যাবে ঐ দূর তারার দেশে ভালোবাসতে শেখাবে ভালোবাসাকে জীবনের বেচে থাকা নিয়মে অনেক সময় কেটে গেল তবু কেন তুমি আড়ালে ফিরে চলেছি তোমার পথে নিরাশার মাঝে এই আশা নিয়ে সেই রাতে তুমি বলেছিলে আমায় নিয়ে যাবে ঐ দূর তারার দেশে ভালোবাসতে শেখাবে ভালোবাসাকে জীবনের বেচে থাকা নিয়মে রাতের এই আকাশে তোমার গড়া স্বপ্নের দেশে ভিড়েছে তারার মেলায় তবু নীড়ের আশা নিয়ে
আমরা বাঁচি নিঃশ্বাসে আর তোমরা বাঁচো দীর্ঘশ্বাসে.. পিষ্ট হও প্রতি দিন ঠিক বেঠিকের হাঁসফাঁসে.. ফিসফাসে রোজ রটে যায় আমি ভুল, তবু ভুলেই বেঁচে থাকি.. তোমাদের ঘিরে অন্ধকার আমি আলো আঁধারে সামলে রাখি.. উপহাসে নীরব, ভেবে তোমার অবয়ব.. নীরবতায় সরব, জাগতিক কলরব.. অলীক মিছিলে হেটে সারাদিন শেষে একা একা ফিরে যাও ফেরার অভিযোজনে বিগত প্রলাপ গাও.. বোধের ভারে ধ্বসে যায় ঝড়ে ভেঙে যায় কপট মিত্রতা.. আপোষের ধার ধারিনা ভুলে থাকিনা অহমের তীব্রতা.. উপহাসে নীরব, ভেবে তোমার অবয়ব.. নীরবতায় সরব, জাগতিক কলরব.. আমাদের তবে শুনেছো গানে মেতেছো, উল্লাসে একাকার তবু এ পৃথক পথচলা.. মৌনতা বলে কিছু নেই, বিস্মৃত নই এবার তোমার পরিনত হবার পালা.. দেনা পাওনার হিসেব বেমানান আমি জীবনের দামে অতীত নিয়েছি কিনে... কি ছিলো কে হারালো কোন ভুলে, সুর হয়েও হলোনা.. কি হলো কি হলোনা তা অমুলক অযাচিত তুলনা.. অতীতের হাটা ভুলে যাও এটা অসম সমীকরণ.. তাই আজ এই আয়োজনে বুঝে নাও অনুভবে এক অনুরনন.. অবিমৃষ্যতা পিছুটান.. পথচলায় বেমানান.. জেনে নাও.......
এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না চাঁদ কেনো আলো দেয় না পাখি কেনো গান গায় না তারা কেনো পথ দেখায় না তুমি কেনো কাছে আসো না? সমুদ্রের ঝড়ো হাওয়া বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায় পাখি মৃদু কন্ঠে বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায় এই শরতেরই সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না কাশফুল কেনো ফুটে না, ছুয়ে ছুয়ে যায় না মেঘের ভেলায় ভাসেনা, ভেসে তুমি কেনো আসো না? ঝরে যাওয়া সব অশ্রু বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায় হৃদয়ের যত অনুভুতি আছে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায় এই বসন্তেরই সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না ফুলগুলো কেনো হাসেনা, হৃদয়ে দোলা দেয়না আবেশেতে জড়ায়না তুমি কেনো কাছে আসোনা? এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না চাঁদ কেনো আলো দেয় না পাখি কেনো গান গায় না তারা কেনো পথ দেখায় না তুমি কেনো কাছে আসো না?
জানি ভুল করেছি আমি তবু ক্ষমা করো আমায় আমায় যদি ভালো নাও বাসো মিথ্যে করে না হয় একটু হাসো যাবে না তুমি কোন স্বপ্ন দেশে তবু আমি যাবো তোমার সাথে কল্পনাতে একা একা জানবো তুমি আছো পাশে জানি ভুল করেছি আমি তবু ক্ষমা করো আমায় আমায় যদি ভালো নাও বাসো মিথ্যে করে না হয় একটু হাসো রাতের আকাশে তোমার ই ছবি তোমারই স্মৃতি কেনো আমায় কাঁদায় শুধু ভাবায় তোমাকে চায় জানবো তুমি আছো পাশে
Submit to make your ranking count.